“সরকারের নতুন কোভিড-১৯ লকাল এ্যালার্ট সিস্টেমের (স্থানীয় সতর্কতা ব্যবস্থা) অর্ধীনে টাওয়ার হ্যামলেটস সহ গোটা লন্ডনকে একটি “উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল (বা ‘টায়ার ২’)" হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে, যা কার্যকর হবে শনিবার (১৬ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত) থেকে। এর অর্থ হলো - এখন থেকে পরিবারগুলো ঘরের ভিতরে, কিংবা রেস্টুরেন্ট, বার অথবা ক্যাফের মতো যে কোন ধরনের ইনডোর বা অভ্যন্তরীন পরিবেশে মেলামেশা করতে পারবে না।
“এটা আমরা জানতাম যে, ভিন্ন পরিবারগুলোর মেলামেশার কারণে কোভিড-১৯ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সে কারণেই আমরা অন্য পরিবারের সাথে না মেশার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছি। এখন এটি বাধ্যতামূলক হলো। আমি এটাও জানি যে এসকল বিধিনিষেধগুলো মেনে চলা কঠিন, কিন্তু এটা আমাদের সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে যে, সময়টি খুবই গুরুতর।
“সংক্রমণের হার বাড়ার প্রেক্ষিতে আমাদের কমিউনিটিকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সকলেরই বিধিনিষেধগুলো অবশ্যই যথাযথভাবে মেনে চলা উচিত। কাউন্সিল হিসেবে আমরা আমাদের বাসিন্দাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবো।
"আগামী কয়েক মাস হবে খুবই চ্যালেঞ্জিং - আমরা একসাথে ঐক্যবদ্ধ থাকবো এবং এই চ্যালেঞ্জ আমরা সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করবো। দয়া করে আমাদের ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯ বিষয়ক সকল তথ্য অবহিত হন এবং আপনার কোন সাহায্যের দরকার হলে, দয়া করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। অনুগ্রহ করে নিজেদের পরিবার, বন্ধু-স্বজন ও প্রতিবেশিদের খোঁজ খবর রাখুন - হয়তো আজকের নতুন সংকটের খবর শুনে তারা উদ্বিগ্ন হতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থ্যতা বিষয়ক সহায়তামূলক সেবাও পাওয়া যাচ্ছে।"
নিরাপদ থাকুন
মেয়র বিগ্স
কোভিড - ১৯ এর প্রাদুর্ভাব রুখতে বিধিনিষেধগুলো মেনে চলুন
কোভিড-১৯ এর আক্রান্তের সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে এবং লন্ডনের মধ্যে এখন টাওয়ার হ্যামলেটসে সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। জাতীয় পরামর্শগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য আমাদের সকলকে অবশ্যই অব্যাহতভাবে ভূমিকা পালন করে যাওয়া এবং নিরাপদ থাকার লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে স্থানীয়ভাবে আমাদের যা যা করা সম্ভব আমাদের করতে হবে। সকলের সার্বিক সুরক্ষার স্বার্থে নীচের নিয়মকানুনগুলো কঠোরভাবে মেনে চলুনঃ
- যেকোন সামাজিক মেলামেশার স্থানের (ন্যূনতম ব্যতিক্রম সহ) ভেতরে কিংবা বাইরে ৬ জনের বেশি লোকেরগ্রুপের সাথে আপনি অবশ্যই মিলিত হবেন না। জাতীয়ভাবে কার্যকর হওয়া বিধানগুলোর বাইরেও আমরাআপনাকে নিতান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অন্যদের ঘরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য, আমাদের তথ্য-উপাত্ত বলছে, স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের উচ্চ হারের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের মধ্যকার মেলামেশাটা অন্যতম কারন।
-
নিয়মিত এবং প্রতিবার কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। যদি সাবান-পানি না থাকে, তাহলে হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করুন।
- গণপরিবহন (অর্থাৎ বাস, টিউব, ট্রেন, ডিএলআর ইত্যাদি), দোকানপাটের ভেতরে এবং অন্যান্য সকল অভ্যন্তরীন অর্থাৎ আবদ্ধ স্থানে মুখে মাস্ক বা আচ্ছাদন পরুন। অথবা যে স্থানে শারিরীকভাবে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সেখানেও মুখ ঢেকে রাখুন। আপনি যদি খাবার বা পানীয়ের জন্য চেয়ারে বসে না থাকেন, তাহলে হসপিটালিটি সেক্টর অর্থাৎ রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ইত্যাদিতেও এখন মুখ ঢেকে রাখা আবশ্যক।
- আপনার পরিবারের বাইরের যেকোন লোকের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন (যেখানে সম্ভব দুই মিটার দূরত্ব)
- যদি আপনার মধ্যে কোভিড-১৯ এর কোন লক্ষণ বা উপসর্গ, যেমন খুব বেশি জ্বর, নতুন করে অথবা ক্রমাগত কাশি,কিংবা স্বাদ/ঘ্রাণের স্বাভাবিক অনুভূতিতে পরিবর্তন আসে বা কমে যায়, তাহলে বিনামূল্যে টেস্ট বুক করুন এবংটেস্টের রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত ঘরের মধ্যে থাকুন।
- আপনার টেস্ট এর ফল যদি পজিটিভ হয় অথবা পজিটিভ হয়েছে এমন কারো সংস্পর্শে যদি আপনি এসে থাকেনএবং এনএইচএস টেস্ট এন্ড ট্রেস কর্তৃক আপনাকে সেল্ফ-আইসোলেট বা স্ব-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার জন্য বলা হয়, তাহলে নিজ ঘরে অবস্থান করুন।
নিজেকে, নিজের পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের এবং বৃহত্তর কমিউনিটিকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের প্রত্যেকেরই ভূমিকা পালন করা জরুরী। আমাদের কোভিড-১৯ কমিউনিটি চ্যাম্পিয়নরা কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও পরামর্শ সকলকে অবহিত করে চলেছেন।
দয়া করে এটা মনে রাখুন যে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকার প্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরামর্শগুলো দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া সর্বসাম্প্রতিক তথ্যগুলো সম্পর্কে অবহিত হোন। মনে রাখবেন, যদি জাতীয়ভাবে নতুন কোন পরামর্শ দেয়া হয়, তাহলে আমরা বাসিন্দাদের অবহিতকরণের লক্ষ্যে সাথে সাথে নিউজলেটারের বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করবো।
একযোগে ৩টি নতুন কাউন্সিল বিল্ডিং উদ্বোধন, ৭৭টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর
টাওয়ার হ্যামলেটসে আবাসন সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন সাইজের ফ্ল্যাট সম্বলিত ৩টি কাউন্সিল বিল্ডিং একযোগে উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে জুবিলী স্ট্রিটের লেভিটাস হাউস, মাইলেন্ডের রডসওয়েল রোডের পাইরাস হাউস এবং বেথনাল গ্রীণের ব্যারনেস রোডের জন অরওয়েল হাউস। উদ্বোধনকৃত বিল্ডিংগুলোর মধ্যে পাইরাস হাউজে ৩৩টি, জন অরওয়েল হাউজে ২০টি এবং লেভিটাস হাউজে ২৪টি অর্থাৎ মোট ৭৭টি ফ্ল্যাট রয়েছে।
নির্মিত ফ্ল্যাটগুলো অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এবং পরিবার নিয়ে বসবাস করার উপযোগি করে বানানো হয়েছে। এগুলো ৩, ২ এবং ১ বেডরুমের। এছাড়া প্রত্যেক বিল্ডিংয়েই প্রতিবন্ধীদের জন্যও কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মেয়র জন বিগস সম্প্রতি এই আবাসিক ভবন ৩টি উদ্বোধন করেন। এগুলো মেয়র জন বিগসের ২ হাজার কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ। নির্মিত ৩টি বিল্ডিংয়ের জায়গাগুলো কাউন্সিলের অব্যবহৃত কারপার্ক ছিলো। মূলত বারাজুড়ে কাউন্সিলের অব্যবহৃত জায়গাগুলোকে সংস্কার করেই মেয়র প্রতিশ্রুত ২ হাজার কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
সম্প্রতি ভবন ৩টি উদ্বোধন করে মেয়র জন বিগস বলেন, ২ হাজার কাউন্সিল বাড়ী নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। উদ্বোধনকৃত ৩টি ভবনে মোট ৭৭টি পরিবারকে বরাদ্দ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। হাউজিং সমস্যায় জর্জরিত আমাদের বারায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ন অগ্রগতি। এই সমস্যার সমাধানে আমাদের যে আরো গুরুত্ব দেয়া উচিত তা করোনাভাইরাস স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ডেপুটি মেয়র এবং হাউজিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে বসবাস উপযোগী এই নতুন কাউন্সিল বাড়ীগুলো বাসিন্দাদের মধ্যে বরাদ্দ দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুত ২ হাজার কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের লক্ষ্যে সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এর অংশ হিসাবে গত সপ্তাহেও আমরা বো এলাকার সাউদার্ন গ্রোভ সাইটে আরো ৪২ টি কাউন্সিল ফ্ল্যাট নির্মানের প্ল্যানিং পারমিশন লাভ করেছি। এটি হবে এখানে মোট ৭৮টি বড় সাইজের বাড়ী নির্মান প্রজেক্টের অংশ। এর মাধ্যমে আমরা ভিক্টোরিয়ান ওয়ার্কহাউজ সাইটটির ভবিষ্যৎকেও রক্ষা করতে পারবো। এখানে নির্মিত কাউন্সিল বাড়ীগুলো হাউজিং রেজিস্ট্রারে থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরন করা হবে। বাকীগুলো মার্কেট রেটে বিক্রি করে এর লভ্যাংশ বারার অন্যান্য স্থানে আরো কাউন্সিল হাউজ বানানোর কাজে ব্যবহার করা হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভিজিটের সময় কিউআর কোড স্ক্যান করুন: মেয়র জন বিগস
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস সবাইকে মোবাইলে এনএইচএসের কভিড - ১৯ এপটি (COVID-19 App) ডাউনলোড এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভিজিটের সময় এই এপ দিয়ে কিউআর কোড (QR CODE) স্ক্যান করার জন্য বারার বাসিন্দাদের প্রতি বিশেষ অনুরুধ জানিয়েছেন।
১২ অক্টোবর, সোমবার বিকালে ব্রিকলেইনে এসংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রচারনা চালানোকালে মেয়র এই আহবান জানান। মেয়র বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস তথা দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় এটা জরুরী হয়ে উঠেছে।
কভিড - ১৯ এপটি (COVID-19 APP) দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় কিউআর কোড (QR CODE) স্ক্যান করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আপনি কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়েছিলেন কী-না তা জানা যাবে এবং আপনাকে সতর্ক করে দেয়া হবে।
মেয়র জানান, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, দোকানপাটসহ জনসাধারনের যাতায়াত রয়েছে এমন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখে এই কিউআর কোডটি সরকারের ওয়েভসাইট থেকে ডাউনলোড করে লাগিয়ে রাখার অনুরুধ করা হয়েছে।
এই কোডটি পেতে https://www.gov.uk/create-coronavirus-qr-poster ওয়েভসাইট ভিজিট করতে হবে। আর ওয়েভসাইটে ফর্মটি ফিলাপের সময় প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত দেয়া হলে প্রত্যেকের জন্য নিজস্ব কোড সম্বলিত পোস্টার দেয়া হবে।
সকল ধরনের সক্ষমতার বাচ্চাদের জন্য আধুনিক ও বর্ণাঢ্য খেলার মাঠ
পপলারের বার্টলেট পার্ক এবং বেথনাল গ্রীণের মীথ গার্ডেন্সে আমরা নতুন ও আধুনিক প্লেগ্রাউন্ড ইক্যুইমেন্ট বা খেলার সরঞ্জামাদি স্থাপন করেছি। বারার ৬০টি পার্ক এবং উন্মুক্ত স্থানের উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহিত আমাদের ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের পার্কস ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় বার্টলেট পার্ক ও মীথ গার্ডেন্সে এসব সরঞ্জামাদি বসানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, শিশু এবং পেশাদারদের ধারনাগুলো ব্যবহার করে এসব নতুন প্লেগ্রাউন্ডগুলোর নকশা বা ডিজাইন করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে সকল ধরনের সক্ষমতার বাচ্চাদেরকে সৃজনশীল খেলায় সম্পৃক্ত রাখতে অবকাঠামোগত সুবিধাদি নিশ্চিত করা।
কোভিড-১৯ এর ঝড় মোকাবেলায় ক্ষুদ্রতম ব্যবসাগুলোকে আমরা সহযোগিতা করছি
কোভিড-১৯ অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে আমাদের নতুন একটি অনন্য কর্মসূচির আওতায় বারার ৫০টি অতি ছোট আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পূণরুদ্ধার পরিকল্পনা ও ১০০০ পাউন্ড মূল্যমানের সহায়তা প্রদান করা হবে।
দ্যা পিভট প্রজেক্ট নামের নতুন এই প্রকল্পটি হোয়াইটচ্যাপল ভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তাকারী নেটওয়ার্ক সংস্থা এন্টারপ্রাইজ নেশন এর সাথে পার্টনারশীপের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসকল সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান লড়াই করে যাচ্ছে, অথচ যদি তারা উপযুক্ত সহায়তা এবং বাস্তবায়নযোগ্য উপযুক্ত বিজনেস মডেল সংক্রান্ত পরামর্শ পেলে শুধু টিকে থাকা নয়, প্রভূত উন্নতি করার সম্ভাবনা রয়েছে - তাদেরকে সহযোগিতা করতেই নেয়া হয়েছে এই প্রজেক্ট।
ইলেক্ট্রিক যানবাহনের জন্য ১৮২টি নতুন চার্জিং পয়েন্ট স্থাপনের উদ্যোগ
আগামী বছর থেকে টাওয়ার হ্যামলেটসের ইলেক্ট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি চালকরা বরার ১৮২টি নতুন চার্জিং পয়েন্টে তাদের গাড়ি চার্জ করতে পারবেন। এজন্য নতুন একটি তহবিল পাওয়া গেছে।
লন্ডন কাউন্সিল গ্র্যান্টের অর্থায়নে ২০২১ সালের প্রথম দিকেই ৮২টি নতুন অন-স্ট্রিট চার্জিং পয়েন্ট স্থাপন করা হবে। বছরের শেষ নাগাদ বাকি ১০০ টি স্থাপন করা হবে সরকারি অর্থায়নে। এই চার্জিং পয়েন্ট স্থাপনের ফলে গাড়ি চালকরা সহজেই তাদের গাড়ির জ্বালানি শক্তি নিতে পারবেন এবং দুষণ ও উচ্চ শব্দমুক্ত যান চলাচল নিশ্চিত হবে।
যত্রতত্র ময়লা ছুঁড়ে ফেলা ও গ্রাফিতি রুখতে রাস্তায় নেমেছেন অফিসাররা
বারার যেসব এলাকায় যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রবণতা বেশি, নোংরা দেয়াললিখন অর্থাৎ গ্রাফিটি ও এন্টি-সোশ্যাল বিহেভিয়ার বা সমাজবিরোধী আচরণজনিত কার্যকলাপ বেশি হয়, সেসব এলাকায় আমাদের এনভায়রনমেন্টাল সাপোর্ট টিম তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে।
এরই ফলশ্রুতিতে হোয়াইটচ্যাপল এবং উইভার্স ওয়ার্ডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১২টি ফিক্সড প্যানাল্টি নোটিশ (এফপিএন) এবং সামগ্রিকভাবে ২০০ টি লিখিত ওয়ার্নিং বা সতর্কীকরণ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এই ইস্যূতে বাসিন্দা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করতে এবং রাস্তাঘাটের পরিচ্ছন্নতা ও আবর্জনা স্তুপ করে রাখার ইস্যূগুলো নিয়ে অফিসাররা নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চালাবেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে কাউন্সিল ফ্লাইটিপিং অর্থাৎ যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা বা ছুঁড়ে ফেলার দায়ে এফপিএন এর চার্জ বা জরিমানার পরিমাণ ৮০ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৪০০ পাউন্ড করেছে, যা আগাম পরিশোধের ক্ষেত্রেও কোন ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবেনা। ফ্লাইটিপিং সম্পর্কে রিপোর্ট করতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
যারা ঝুঁকিতে আছেন, তাদেরকে এবার ফ্লু জাব নিতে মেয়রের আহ্বান
এবারের ফ্লু সিজনে ফ্লুর টিকা বা ভ্যাকসিন নেয়াটা অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি হচ্ছে আপনাকে এবং আপনার চারপাশের মানুষজনকে ফ্লু থেকে রক্ষা করার এক নম্বর উপায় এবং এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাগুলোর ওপর থেকে অতিরিক্ত চাপ কমবে। এমনিতেই স্বাস্থ্যসেবা খাত এখন কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় ব্যস্ত রয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে মেয়র জন বিগস ফ্লুর টিকা দেয়ার জন্য পপলার ফার্মেসিতে যান এবং যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছেন, তাদেরকে এখনই এই ফ্লু জাব বা টিকা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের মধ্যে রয়েছেন ৬৫ উর্ধ বয়সীরা, গর্ভবতী মহিলারা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা রয়েছে যাদের।
ফার্মেসিতে যাওয়ার আগে আপনার লকাল ফার্মেসিতে ফোন করে আপনাকে তারা ফ্লু জাব বা টিকা দিতে পারবেন কি-না তা নিশ্চিত হয়ে নিন।
|
|
|
|
আমাদের ত্রৈমাসিক প্রকাশনা ‘আওয়ার ইস্ট এন্ড’ সম্পর্কে পাঠকদের অভিমত জানার জন্য আমরা রিডার সার্ভে শুরু করেছি। দয়া করে মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করে এই পাঠক জরিপ বা রিডার সার্ভেতে অংশ নিয়ে আপনার অভিমত আমাদের জানান।
রিপে অংশগ্রহণকারী সকলের নাম প্রাইজ ড্রতে অন্তর্ভূক্ত হবে এবং ভাগ্যবান একজন জিতে নেবেন ১০০ পাউন্ডের আমাজন ভাউচার।
আমরা আপনার ফিডব্যাক বা অভিমতকে সত্যিকার অর্থেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
|
|
|
Useful links
Thank you for reading
We hope you have found this bulletin useful. Share this with your family and friends to ensure they have the latest advice on coronavirus. Anyone can subscribe using this link.
Updates in other languages
If you know someone who would like to receive advice in Bengali, they can subscribe to 'Bengali newsletter' for weekly news and updates.
|