করোনাভাইরাসেও থমকে নেই ড্রাগ ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযান
পুলিশ বুধবার (২৭ মে) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে মাদক কেনাবেচার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমান নগদ অর্থ ও ক্লাস এ ড্রাগস জব্ধ করেছে ।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল, পুলিশ এবং হাউজিং এসোসিয়েশনগুলোর সম্মিলিত অংশদারিত্বের ভিত্তিতে ‘অপারেশন কন্টিনিয়াম’ নামের বিশেষ এই পুলিশী অভিযান দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। নেইবারহুডকে আরো নিরাপদ, মাদকমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করতে ড্রাগ কেনাবেচার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত রাখতে এই পার্টনারশীপ গঠন করা হয়।
বুধবারের অভিযানে পুলিশ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ১৩ জন পুরুষ ও একজন মহিলাকে গ্রেফতার করে। এছাড়া গাঁজা ও ক্লাস এ ড্রাগ সরবরাহের উদ্দেশ্যে সঙ্গে রাখার দায়ে আরো তিন যুবককে পুলিশ আটক করে।
লকডাউনের কারণে অপরাধের হার কমলেও কিছু লোক মাদক ব্যবসা ও মাদক ব্যবহার করে আসছে। এই ইস্যূ মোকাবেলায় আমাদের যৌথ প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে। মাদক সংক্রান্ত যে কোন ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট করার জন্য আমরা বারার বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। অপারেশন কোন্টিনিয়াম সম্পর্কে আরো জানতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
অসহায় বাসিন্দাদের খাদ্যসামগ্রী কেনাকাটায় সহযোগিতা
আপনি যদি শিল্ডিং অর্থাৎ সুরক্ষিত অবস্থায়, কিংবা সেল্ফ-আইসোলেটিং (স্ব-বিচ্ছিন্ন অবস্থা) থাকেন অথবা ঘরের বাইরে যেতে না পারেন, তাহলে নিজের ঘরে ডেলিভারি অথবা কলেকশনের জন্য অনলাইনে কিংবা টেলিফোনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় গ্রোসারির অর্ডার দিতে ও মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। টাওয়ার হ্যামলেটস বারার পোস্টকোডগুলোতে পণ্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে এমন সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকা আমরা একত্রিত করেছি, ফলে আপনি অতি সহজেই আপনার জন্য সেরা বিকল্পটি খুঁজে নিতে পারেন।
আপনার গ্রোসারি সামগ্রী সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে যদি কোন সহযোগিতার দরকার হয়, তাহলে আপনি আপনার বন্ধু, পরিবার অথবা প্রতিবেশির সাহায্য চাইতে পারেন। যদি এভাবে কারো কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের অনেক স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা আপনার খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে আপনার দোরগোড়ায় তা পৌঁছে দেবেন।
খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ ও পৌঁছে দিতে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা পেতে দয়া করে আমাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন। ক্রয়কৃত গ্রোসারির মূল্য টেলিফোনের মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ আপনাকে দেয়ার জন্য আমরা অন্যান্য দোকানগুলোকেও অনুরোধ করতে পারি।
১ জুন থেকে পুণরায় কার্যকর হবে পার্কিং বিধিনিষেধ ও এনফোর্সমেন্ট
১ জুন সোমবার থেকে পার্কিং রেস্ট্রিকশনস্ বা বিধিনিষেধ পুণরায় কার্যকর হবে এবং কন্ট্রোলড পার্কিং সময়ে গাড়ি পার্ক করার ক্ষেত্রে আগের মতই বাসিন্দাদের পারমিট লাগবে। পারমিট ছাড়া গাড়ি পার্ক করা হলে পেনাল্টি চার্জ নোটিশ পেতে পারেন।
আমরা কী ওয়ার্কারদেরকে ৪ হাজারেরও বেশি অস্থায়ি পার্কিং পারমিট প্রদান করেছি। নতুন পেপারলেস ভার্চুয়াল পারমিট ব্যবহার করে ফ্রন্টলাইন এনএইচএস এবং স্কুল স্টাফ, ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস এবং কাউন্সিলের সোশ্যাল ওয়ার্কাররা বিনামূল্যে গাড়ি পার্ক করতে পারবেন।
সোমবার থেকে ওয়াপিং হাই স্ট্রিটের বাস গেট আগের মতো পুণরায় চালু হবে। বিষয়টি গাড়ি চালকদের অবহিত করতে বিভিন্ন স্থানে সাইন বা নোটিশবোর্ড লাগানো হবে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপদে স্কুলে ফিরে যেতে সহায়তা করা
সাম্প্রতিক সপ্তাহ এবং মাসগুলিতে, আমাদের শিক্ষক, স্কুলে সহায়তকারী স্টাফ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বর্তমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সাধারণ জ্ঞানবোধ ও দুর্দান্ত সহনশীলতা দেখিয়েছেন। কখন বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর স্কুলে ফিরে যাওয়া নিরাপদ হতে পারে, তা নিয়ে সারা দেশেই এখন ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
আমাদের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থী ও স্টাফ – উভয়েরই মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা কাউন্সিলের অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে থাকবে। আমরা এটা আশা করছি না যে, ১ জুন থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে যাবে, যা কী ওয়ার্কারদের বাচ্চা ও সরাসরি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাবে।
এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে মেয়র জন বিগস বাসিন্দাদের কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। চিঠিটি পড়তে হলে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
মার্কেটগুলোর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা
ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সুরক্ষামূলক নির্দেশিকা যথাযথ অনুস্মরণ করা সাপেক্ষে ১ জুন সোমবার থেকে আউটডোর মার্কেটগুলো আবারও খুলতে পারে বলে সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে।
নিরাপদ উপায়গুলো খোঁজে বের করার লক্ষ্যে আমাদের অফিসাররাও কিছু সময়ের জন্য মার্কেটগুলো পুণরায় চালু করার পরিকল্পনা করছেন। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছ এবং এটি স্পষ্ট যে, স্বল্পমেয়াদে চালু হলেও আমাদের মার্কেটগুলো দেখতে ও ব্যবহারে অনেকটাই আলাদা মনে হতে পারে।
মার্কেটের স্টল মালিক বা ট্রেডারদের এমন পরিকল্পনা তৈরী করতে বলা হচ্ছে যাতে করে তারা নিরাপত্তার সাথে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। এব্যাপারে কাউন্সিল অফিসাররা তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছেন। যে ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসা পরিচালনায় যথাযথ পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হবেন, তাদেরকে ব্যবসা পুণরায় চালু করতে দেওয়া হবে না।
ফ্রি এইচএমআরসি ওয়েবিনার এর জন্য আসন বুক করুন
ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের যে অসুস্থ্যকালীন বেতন অর্থাৎ সিক পে পেমেন্ট দিয়েছে, তা ফেরত পেতে একটি নতুন অনলাইন সার্ভিস চালু করার কথা গত ১৯ মে ঘোষণা করে সরকার। নিয়োগকর্তাদের সহায়তার জন্য, এইচএম রেভিনিউ এন্ড কাষ্টমস করোনাভাইরাস স্ট্যাটুটরি সিক পে রিবেট স্কীম বিষয়ক ফ্রি ওয়েবিনার অর্থাৎ অনলাইন সেমিনার পরিচালনা করবে। এই অনলাইন সেমিনারে এই স্কীম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। যেসকল তথ্য থাকবে, তার মধ্যে রয়েছে:
- কে ক্লেইম বা দাবি করতে পারবে
- কখন বিধিবদ্ধ অসুস্থ ভাতা প্রদান শুরু করবেন
- কর্মীরা কী দাবি করতে পারবেন
- কিভাবে দাবি করতে হবে
- নথি সংরক্ষণ
যুক্তরাজ্যে অস্থায়িভাবে বসবাসরতদের ভিসা সংক্রান্ত তথ্যাদি ও পরামর্শ
২২ মে সরকারী এক ঘোষনায় জানানো হয়েছে যে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে যে সকল বিদেশি নাগরিক নির্ধারিত সময়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেননি, তারা জুলাই মাসের শেষ অবধি তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
এক্সটেনশন বা বর্ধিতকরণ মেয়াদ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। যাদের ভিসার মেয়াদ ২৪ জানুয়ারি উত্তীর্ণ হয়েছে, এবং যাতায়াত নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে অথবা সেল্ফ-আইসোলেটের প্রয়োজনীয়তার কারণে যাদের চলাচল সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।
নিরাপদে যাতায়াত করার কয়েকটি টিপস
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে, দয়া করে যতটুকু সম্ভব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এড়িয়ে চলুন এবং নিতান্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করুন। যদি আপনাকে গণপরিবহনে চলাফেরা করতে হয়, তাহলে মুখ ঢেকে রাখার চেষ্ঠা করুন, অন্যদের থেকে ২ মিটার দূরে থাকুন, যাত্রা শুরুর আগে ও পরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন এবং ভাড়া পরিশোধের ক্ষেত্রে কন্টাক্টলেস কার্ড ব্যবহার করুন।
যাদের পক্ষে সম্ভব, তাদেরকে দিনের ব্যস্ততম সময় অর্থাৎ রাশ আওয়ারে গনপরিবহণে ভ্রমণ না করতে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন এর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যস্ততম সময় হচ্ছে ভোর ৫.৪৫ টা থেকে সকাল ৮.১৫টা এবং বিকাল ৪টা থেকে ৫.৩০টা।
যারা আমাদের সেবায় নিয়োজিত, তাদের জন্য সহায়তা
আমরা জানি যে, গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত অর্থাৎ কী ওয়ার্কারদের অনেকেই এখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি মানসিক চাপের মধ্যে আছেন এবং এই সময়ে তাদের অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। অনেক সংস্থাই এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সহায়তামূলক সেবা প্রদান করছে। হতে পারে কোন কঠিন দিন সম্পর্কে কারো সাথে কথা বলা অথবা আপনার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করা।
ফোন অথবা অনলাইনে পরিচালিত সেশনের মাধ্যমে টাওয়ার হ্যামলেটস্ টকিং থেরাপি সাহায্য করতে পারে। এই সার্ভিটি উন্মুক্ত এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যায় নিয়োজিত কী ওয়ার্কারদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। অনলাইনে অথবা ০২০ ৮৪৭৫ ৮০৮০ নাম্বারে ফোন করে বাসিন্দারা সহায়তা পেতে পারেন।
সামারিটান কী ওয়ার্কার হেলপলাইন (আওয়ার ফ্রন্টলাইন) এর ফ্রি সার্ভিসের জন্য সপ্তাহের ৭ দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফোন করতে পারেন - ০৩০০ ১৩১ ৭০০০। এছাড়াও টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমেও আপনি দিনের ২৪ ঘন্টাই সার্ভিস পেতে চাইলে FRONTLINE লিখে পাঠিয়ে দিতে পারেন ৮৫২৫৮ নাম্বারে।
Coronavirus: useful links
Thank you for reading
We hope you have found this bulletin useful. Share this with your family and friends to ensure they have the latest advice on coronavirus. Anyone can subscribe using this link.
Updates in other languages
If you know someone who would like to receive advice in Bengali, they can subscribe to 'Bengali newsletter' for weekly news and updates.
|