হুমকি এখনো আছে – অনুগ্রহ করে ঘরেই থাকুন
ইংল্যান্ডে লকডাউন বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার লক্ষ্যে সরকার কতিপয় পদক্ষেপ ঘোষনা করেছে। এসব পদক্ষেপ গতকাল ১৩ মে বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
যদিও সরকারের এই ঘোষনা সঠিক গন্তব্যের দিকে যাওয়ার একটি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়, তবুও এটা সুস্পষ্ট যে হুমকিটি এখনো শেষ হয়নি এবং আমাদের অবশ্যই আত্মতুষ্ট হওয়া উচিত নয়।
পরিবর্তিত ঘোষনা অনুযায়ি আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না, সেসম্পর্কিত বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ সহ সর্বশেষ সরকারী পরামর্শটি ভালো করে পড়ুন। এরমধ্যে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত গ্রুপ, যেমন করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ার উচ্চঝুঁকির কারণে যাদেরকে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকতে হচ্ছে, তাদের জন্যও প্রয়োজনীয় পরামর্শ রয়েছে। এছাড়া কর্মস্থলে যাওয়া-আসা, গণপরিবহন ব্যবহার, স্কুল ও চাইল্ডকেয়ার, আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগ সহ অসংখ্য বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
করোনাভাইরাসের হুমকিটি কেটে যায়নি এবং পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে আমরা লন্ডনের অন্যান্য কাউন্সিল এবং পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এর সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
ভিক্টোরিয়া পার্ক উপভোগকারীদের জ্ঞাতার্থে
আমরা জানি, আমাদের অনেক বাসিন্দা জনপ্রিয় ভিক্টোরিয়া পার্কটি উপভোগ করতে অধীর হয়ে আছেন। আমরা এটাও ভালোভাবে উপলব্ধি করি যে, অতিপ্রয়োজনীয় ব্যায়াম, সূর্যালোক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ঘরের বাইরের পরিবেশের রয়েছে বিশেষ উপকারিতা।
আপনার এবং অন্যদের সুরক্ষার জন্যই বলবতকৃত বর্তমান নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাদি পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে আনা পরিবর্তনগুলো ১৬ মে শনিবার থেকে কার্যকর হবে।
উইকেন্ডের আগেই আমরা এ বিষয়ে আরো বিস্তর পর্যালোচনা করবো এবং সর্বশেষ তথ্যগুলো দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইট www.towerhamlets.gov.uk/victoriapark আপডেট করা হবে।
যতটা সম্ভব ঘরের মধ্যে থাকার জন্য আমরা আমাদের বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি এবং হালনাগাদকৃত সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলা আমাদের সবার জন্য খুবই জরুরি।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রামাদান
আমরা আশা করছি যে, রামাদান পালনকারীরা উপবাসকালীন সময়টা আনন্দময় ও নিরাপদে কাটাচ্ছেন। আমরা বুঝতে পারছি, মহামারীর কারণে এই বছরের রামাদান হচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্নতর এক অভিজ্ঞতা।
অনুগ্রহ করে এটা মনে রাখবেন যে, আপনার নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষার জন্য পুরো রামাদান মাস জুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকনির্দেশনা অব্যাহতভাবে মেনে চলা খুবই অত্যাবশ্যক।
মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন এর ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ এবং রিসোর্সেস বা উপকরণসমূহের লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ইস্ট লন্ডন মসজিদ অনলাইন আলোচনা ও ইবাদাত লাইভ সম্প্রচার করছে।
ব্যবসাবাণিজ্য আবার সচল হয়ে উঠছে – আমরাও আছি তাদের পাশে
আমরা জানি যে, অনেক ব্যবসায়ি ও কর্মচারি রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা শুনেছেন এবং আসন্ন দিন ও সপ্তাহগুলোতে কীভাবে তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবার খুলতে পারেন, তা এখন বিবেচনা করবেন।
কীভাবে কর্মক্ষেত্রগুলোকে ‘কোভিড সুরক্ষিত’ করা যায়, সেদিকে দৃষ্টি রেখে সরকার সুনির্দিষ্ট-খাত ভিত্তিক পরামর্শ জারি করবে। ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য, ও সংস্থার জন্য এই সময়টা কতটা চ্যালেঞ্জপূর্ণ তা আমরা উপলব্ধি করি এবং তাদের সহায়তা করতে আমরা এখানে রয়েছে। সর্ব সাম্প্রতিক পরামর্শ ও তথ্যাদি দিয়ে সাপোর্ট ফর বিজনেস পেজ হালনাগাদ করতে আমাদের কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন।
আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিয়োগদাতাদের কিছু বিষয় বিবেচনা করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করতে অনুরোধ করছি।
পারিবারিক সহিংসতার শিকার লোকজনের জন্য বিশেষায়িত সহায়তা
আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন বা হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন, তবে জেনে রাখুন আপনি একা নন – সহায়তা এখনও পাওয়া যাচ্ছে।
পারিবারিক নির্যাতনের মধ্যে মানসিক, শারীরিক, যৌন হয়রানি, অর্থনৈতিক বা মানসিক নির্যাতনও অন্তর্ভূক্ত।
মনে রাখবেন, জরুরী প্রয়োজনে সর্বদা ৯৯৯ এ কল করবেন। আপনি যদি বিপদের মধ্যে থাকেন এবং ফোনে কথা বলতে না পারেন, তাহলে ৯৯৯ নাম্বার ডায়াল করুন এবং ৫৫ প্রেস করুন। সাথে সাথে আপনার কলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানিয় পুলিশের কাছে চলে যাবে এবং আপনি কথা বলতে না পারা সত্বেও তারা আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবে।
আপনি যদি আপনার কোন বন্ধু কিংবা প্রতিবেশি তাদের নিজ ঘরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে উদ্বিগ্ন হোন, তাহলে জরুরী অবস্থায় সর্বদা ৯৯৯ নাম্বারে কল করুন। অন্যথায় নিজের পরিচয় গোপন রেখে ০৮০০ ৫৫৫ ১১১ নাম্বারে কল করে ক্রাইমস্টোপার্সকে রিপোর্ট করুন।
টাওয়ার হ্যামলেটসে পারিবারিক নিগ্রহ বা নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সবসময়ই আপনাকে এই মর্মে আশ্বস্ত করতে চাই যে, পারিবারিক নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার প্রয়োজনে ঘরে থাকার কোন দরকার নেই।
আপনার প্রতিবেশিদের লকডাউন অভিজ্ঞতা কেমন?
টাওয়ার হ্যামলেটসের লোকজনের লকডাউনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাসিন্দাদের তৈরী করা চমৎকার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।
এতে আশা এবং সহযোগিতার বার্তাগুলো আমাদের এটাই মনে করিয়ে দেয় যে, এমন একটি দুর্দান্ত কমিউনিটিতে বসবাস ও কাজ করতে পেরে আমরা সত্যিই অনেক ভাগ্যবান। এই ভিডিও চিত্রটি তৈরীর সাথে যারা জড়িত, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ এডিটার যিনি সবগুলো ভিডিও একত্রিত করে এটি বানিয়েছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ।
সংকট মোকাবেলায় ব্যক্তি, সংস্থা এবং কাউন্সিল কীভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাচ্ছে, তার আরও কিছু অবিশ্বাস্য গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে হ্যাশট্যাগ টাওয়ারহ্যামলেটসটুগেদার #TowerHamletsTogether ব্যবহার করুন।
আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করুন
আপনি যদি উদ্বেগ, চাপ বা বিষন্নবোধ করে থাকেন, তাহলে ভাববেন আপনি একা নন। এই মূহুর্তে আপনাকে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটস টকিং থেরাপির একদল বন্ধুবৎসল কর্মী।
বাসিন্দারা যাতে তাদের উদ্বেগ-উদ্বিগ্নতা দূর করতে পারেন এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থ্যতার দেখভাল করতে সক্ষম হন, সেজন্য এই এনএইচএস সার্ভিসটি এখন অনলাইন ওয়েবিনার পরিচালনা করছে। এটি ব্যবহার করা যাবে বিনামূল্যে এবং করোনাভাইস সম্পর্কিত যেমন সেল্ফ-আইসোলেশন কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় ইত্যাদি ইস্যূগুলো ছাড়াও অন্যান্য যে কোন সুস্থ্যতা বিষয়ক সাধারণ ইস্যূতেও সহায়তা প্রদান করা হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোন জরুরি প্রয়োজনে যে কেউ দিনের ২৪ ঘন্টা টাওয়ার হ্যামলেটস ক্রাইসিস লাইন ০২০ ৭৭৭১ ৫৮০৭ এ কল করতে পারেন।
অনলাইনে উপভোগ করুন আইডিয়া স্টোর - এর বই ও নানা আয়োজনের বিপুল সমাহার
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে আমাদের আইডিয়া স্টোরগুলো বন্ধ থাকলেও আপনি অনলাইনে এর সুবিশাল সংগ্রহ ও বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন।
সম্পূর্ণ ফ্রি বা নিখরচায় এর মেম্বার হতে পারবেন এবং আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য রয়েছে ই-বুকস, অডিও বুক ও ম্যাগাজিন সহ বহু ঘন্টার বিনোদনের বিপুল সমাহার। বাচ্চারা যাতে বাড়িতে বসেই উপভোগ করতে পারে, সেজন্য আমরা প্রতিদিন ভার্চুয়াল স্টোরি ও রাইম টাইম সেশন পরিচালনা করছি।
আমাদের বাসিন্দারা নিজ নিজ ঘরে নিরাপদে থেকেই প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ ই-বুকস এবং অডিও বুক বা শ্রুতি বইগুলো থেকে নিজের পছন্দেরটা উপভোগ করছেন। অতএব আপনি কেন এই বিপুল সমাহার উপভোগ করবেন না!
বৈষম্য নিয়ে নীরবতা ভঙ্গ করুন
১৭ মে রোববার হচ্ছে হমোফোবিয়া (সমকামিদের বিরুদ্ধে ঘৃণা, ভয় ও বৈষম্য), ট্রান্সফোবিয়া (হিজড়াদের অপছন্দ ও কুসংস্কার) এবং বাইফোবিয়া (উভকামি লোকেদের অপছন্দ ও কুসংস্কার) বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস।
দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স’ অর্থাৎ নীরবতা ভঙ্গ করা। স্থানীয়ভাবে এবং সারা বিশ্বে এলজিবিটি লোকদের প্রতি যে সহিংসতা, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন হয়, তার বিরুদ্ধে আয়োজিত বিশেষ অনলাইন ইভেন্টে বক্তব্য রাখবেন ক্যাম্পেইনাররা।
১৭ মে রোববার বিকাল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ইভেন্টে কীভাবে যোগ দেবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা জানতে lgbtforum@elop.org ইমেইল করুন।
যে কোন ধরনের ঘৃণার কারণে যাদের জীবন আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন জানাতে ভার্চুয়াল মোমবাতি প্রজ্জলন করা হবে।
Coronavirus: useful links
Thank you for reading
We hope you have found this bulletin useful. Share this with your family and friends to ensure they have the latest advice on coronavirus. Anyone can subscribe using this link.
Updates in other languages
If you know someone who would like to receive advice in Bengali, they can subscribe to 'Bengali newsletter' for weekly news and updates.
|