ঘরে থাকুন, এনএইচএস-কে রক্ষা করুন এবং জীবন বাঁচান
যুক্তরাজ্যের জীবন যাত্রায় নতুন করে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষনা দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী। সবার প্রতি সুস্পষ্ট পরামর্শ হচ্ছে - আমাদের এনএইচএস-কে রক্ষা করতে এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজ ঘরে থাকুন। অত্যাবশক না হলে ঘরের বাইরে বের হবেন না।
আপনি যেসব কারণে ঘরের বাইরে যেতে পারবেন :
-
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি ক্রয় - শুধুমাত্র জীবন ধারনে অপরিহার্য সামগ্রী কেনার জন্য।
-
এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে - একা একা অথবা শুধুমাত্র আপনার সাথে বসবাস করে এমন একজনের সাথে দৌড়ানো, হাঁটা বা সাইকেল চালানোর জন্য দিনে একবার ঘরের বাইরে যেতে পারবেন।
-
চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে - ফার্মেসিতে যাওয়া অথবা ভালনারেবল বা অসহায় কাউকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করার জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারবেন।
-
কাজের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ - শুধুমাত্র অত্যন্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কাজে যেতে হলে ঘর থেকে বের হতে পারেন।
মনে রাখবেন, আপনি নিজে সুস্থ্য ও সবল থাকা সত্বেও আপনি ছড়াতে পারেন করোনাভাইরাস এবং লোকজনকে ঠেলে দিতে পারেন ঝুঁকির মুখে।
নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্য বিক্রির দোকানপাটকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং দুই জনের অধিক অর্থাৎ যারা এক সাথে বসবাস করেন এমন দুই জনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রধান মন্ত্রী বলেছেন যে, বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা ও সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়া সহ বিধিবিধান কার্যকর করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে।
আমাদের যেসকল সার্ভিসের ওপর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল, সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস চালু রাখার পাশাপাশি আমরা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে দেশের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের সার্ভিসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অসহায় লোকদের জন্য সহায়তামূলক সেবাগুলোও রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে আসা ঘোষনার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করে যাবো।
আমাদের আইডিয়া স্টোরগুলো এখন বন্ধ রয়েছে এবং পার্কগুলোতে (ভিক্টোরিয়া পার্ক বন্ধ) দিনে একবার যে কোন এক ধরনের শরীরচর্চা বা ব্যায়াম একা একা বা একসাথে বসবাস করেন এমন একজনের সাথে করা যাবে। প্রত্যেককে অবশ্যই নিজের এবং অন্যের মধ্যে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
আমাদের পরিসেবা বা সার্ভিসগুলোতে অপরিহার্য পরিবর্তনগুলো আনার পরপরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাদেরকে জানানো হবে।
সরকারী পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব তা নিশ্চিত করতে আমরা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড, এনএইচএস এবং বিস্তৃত পরিসরে আমাদের সাথে সম্পৃক্ত এমন সকল অংশিদারের সাথে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং একইভাবে সরকারি পরামর্শ অনুস্মরণ করতে আমরা বাসিন্দাদের প্রতিও আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
সর্বশেষ আপডেট ও পরামর্শের জন্য আমাদের নিউজবুলেটিন সাবস্ক্রাইব করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন www.towerhamlets.gov.uk/coronavirus
সরকার government এবং এনএইচএস এর NHS advice পরামর্শ অনুস্মরণ করাটা আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা সবাই এটা উপলব্দি করছি যে, সময়টি খবুই কঠিন, তবে লোকজনকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। নতুন পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন ও যথাযথ প্রয়োগে আমরা আমাদের সার্ভিসগুলোতে আরো পরিবর্তন নিয়ে আসবো।
দয়া করে সরকারী পরামর্শ, বারার দোকান মালিক ও ক্রেতাদের প্রতি লেখা আমার চিঠি এবং স্থানিয় আপডেটগুলো পড়ুন, জানুন।
নিরাপদে থাকুন সবাই।
মেয়র জন বিগস
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে নিজ ঘরে অবস্থান করুন
এনএইচএস এবং সরকারী পরামর্শ মেনে চলা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কেউ ছড়াতে পারে ভাইরাস।
প্রত্যেককে অবশ্যই ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। এরমধ্যে রয়েছেন সব বয়সের মানুষ - এমনকি আপনার মধ্যে কোন ধরনের উপসর্গ বা লক্ষণ কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা না থাকলেও নিজ ঘরে থাকতে হবে সবাইকে।
আপনি কেবল তখনই ঘরের বাইরে যেতে পারেন:
-
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি ক্রয় - শুধুমাত্র তখন, যখন সত্যিই এগুলো ক্রয় করা আপনার দরকার।
-
দিনে একবার যেকোন এক ধরনের এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে - যেমন একা একা অথবা শুধুমাত্র আপনার সাথে বসবাস করে এমন একজনের সাথে দৌড়ানো, হাঁটা বা সাইকেল চালানোর জন্য ঘরের বাইরে যাওয়া।
-
যেকোন চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে - উদাহরণস্বরূপ, ফার্মেসিতে যাওয়া অথবা ভালনারেবল বা অসহায় কাউকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা।
-
কাজের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ - শুধুমাত্র অত্যন্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কাজে যেতে হলে ঘর থেকে বের হতে পারেন।
যদি আপনাকে বাধ্য হয়ে ঘরের বাইরে বের হতে হয়, তাহলে:
- অন্য ব্যক্তিদের থেকে ২ মিটার (৬ ফুট) দূরে থাকুন
- ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলুন
আপনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন, তবে একদমই ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং বাড়ি-ঘরের অন্য লোকদের সাথেও ঘনিষ্ট যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।
এটা কোন অবস্থাতেই ভুলে যাবেন না যে, ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুস্মরণ করা, বিশেষ করে সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া আমাদের সকলের জন্যই অত্যাবশ্যকীয়। এটি ঘন ঘন এবং কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য করুন।
ঘরের ভেতরে এবং অন্যদের থেকে দূরে থাকার বিষয়ে নির্দেশিকাটি পড়ুন।
Read the full guidance on staying at home and away from others.
আপনার যদি করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকে, তাহলে কী করবেন
নিয়মিতভাবে চেক করুন এবং সর্বদা এনএইচএস এর সর্বশেষ পরামর্শ অনুস্মরণ করুন, যা আপনি পাবেন www.nhs.uk/coronavirus - এই ওয়েবসাইটে।
নিচে উল্লেখিত যে কোন উপসর্গ থাকলে নিজ ঘরেই থাকুন:
-
উচ্চ তাপমাত্রা বা খুব জ্বর - এর মানে হলো বুকে বা পেছনে গরম অনুভব করা (তাপমাত্রা পরিমাপ করার দরকার নেই)
-
নতুন করে একটানা কাশি - এক ঘন্টারও বেশি কাশি, বা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩ বা ততোধিক কাশি পর্ব (যদি আপনার সাধারণত কাশি হয়ে থাকে, তাহলে এটি স্বাভাবিকের চেয়েও খারাপ হতে পারে)।
অন্যদের সুরক্ষার স্বার্থে জিপি সার্জারি, ফার্মেসি বা হাসপাতালের মতো জায়গায় যাবেন না। নিজ ঘরের মধ্যে থাকুন।
কী করতে হবে সে সম্পর্কে জানতে ১১১ অনলাইন করোনাভাইরাস সার্ভিসটি 111 online coronavirus service ব্যবহার করুন।
আমরা এই ধরনের অভিযোগ শুনে খুবই উদ্বিগ্ন এবংক্ষুব্ধ হচ্ছি যে, করোনাভাইরাসের মহামারি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করতেই এবং জনসাধারণ খাদ্যদ্রব্য ও গৃহস্থালি জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হতে না হতেই কিছু দোকানদার পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আমরা জানি যে আমাদের অনেক দোকান মালিক এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের সহায়তা করতে এবং পণ্য সরবরাহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু দাম বাড়ানোর খবরে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এটা ঠিক যে, যুক্তরাজ্যের মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস হচ্ছে অন্যতম একটি দরিদ্রতম বারা এবং আমাদের প্রবীণ জনগোষ্টির মধ্যে দারিদ্রতার হার সারা দেশের যে কোন এলাকার চেয়ে অনেক বেশি। আপতকালের সুযোগে মুনাফা অর্জনের এই তৎপরতায় বৃহত্তর কমিউনিটিতে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটসে আমরা এটা কোন অবস্থাতেই সহ্য করবো না।
টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যবসায়ীদের সুস্পষ্ট ভাষায় আমাদের বার্তা জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আমাদের বাসিন্দাদের প্রতিও সুস্পষ্ট পরামর্শ হলো:
আপনি যদি বারার কোন খুচরা বিক্রেতা কর্তৃক এমনটি করার প্রমাণ দেখেন, তাহলে দয়া করে trading.standards@towerhamlets.gov.uk এই ইমেইলে জানান। এছাড়া কম্পিটিশন এন্ড মার্কেট অথরিটি’র কাছেও Competition and Markets Authority আপনি অভিযোগ করতে পারেন।
এদিকে, আমরা এটা শুনেও হতাশ হচ্ছি যে, লোকেরা এখনও বিপুল পরিমাণে কেনাকাটা করছেন। এমনটা করার কোন প্রয়োজন নাই এবং এর ফলে অন্যরা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। শপিং করার আগে বিষয়টি দয়া করে ভাবুন এবং আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য যা যতটুকু প্রয়োজন, শুধুমাত্র সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ি কিনুন এবং অন্যের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে রাখুন।
খাদ্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরাবরাহ রয়েছে। স্টকপাইলিং বা মজুদ করার ফলে যাদের প্রয়োজন তারা বঞ্চিত হবেন, এদের মধ্যে NHS এর স্টাফরাও রয়েছেন। এব্যাপারে সুপারমার্কেটগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ কার্যকর করেছে এবং আমাদের এই বারায়, স্বতন্ত্র দোকানপাটগুলোও বর্তমান এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
|
|
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়াতে শুরু করতে না করতেই কিছু কিছু দোকানে পণ্যের দাম বাড়ানোর অভিযোগ পেয়ে আমরা উদ্বিগ্ব। দয়া করে মেয়র জন বিগস এর ভিডিও বার্তাটি শুনুন-
|
আমরা এখন পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও অন্যান্য কী ওয়ার্কার বা মূল কর্মীদেরকে ১ হাজারেরও বেশি পার্কিং পারমিট প্রদান করেছি। গুরুত্বপূর্ণ সাইটগুলোর আশেপাশে কিভাবে আরো অতিরিক্ত পার্কিং স্পেসের ব্যবস্থা করা যায়, সেজন্য আমরা খুচরা বিক্রেতা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এনএইচএস এবং ইমরার্জেন্সি সার্ভিসগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মীকে সহযোগিতা দিতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কী ওয়ার্কাররা আরো সহায়তা পেতে আমাদের পার্কিং টিমের সাথে ০২০ ৭৩৬৪ ৫০০০ নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমরা খুবই হতাশ ও মনঃক্ষন্ন হচ্ছি এ কারণে যে, ইদানিংকালে আমাদের পার্কিং এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা অগ্রহণযোগ্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমরা বাসিন্দাদের এটা সুস্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার স্বার্থেই পার্কিং সংক্রান্ত বিধিবিধান কার্যকর রয়েছে এবং আমরা তার প্রয়োগ নিশ্চিত করে যাবো। জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল, অসহায় লোকজনের জন্য খাদ্যদ্রব্য সরবরাহকরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের কর্মস্থলে যাওয়া আসা নিশ্চিত করতে আমাদের অফিসাররা হাইওয়েগুলো খোলা রাখতে সচেষ্ট রয়েছেন। তাদেরকে অবশ্যই সম্পুর্ন নিরাপদে কাজ করতে হবে।
সংগঠক ও অপারেটরদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে টাওয়ার হ্যামলেটসের নীচে উল্লেখিত মাকের্টগুলো পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবেঃ
ব্রিক লেন, কলম্বিয়া রোড, পেটিকোট লেন, রোমান রোড, স্কল্যাটার স্ট্রিট এবং ভিক্টোরিয়া পার্ক মার্কেটগুলো পরবর্তি নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বেথনাল গ্রীণ, ক্রিসপ স্ট্রিট, রোমান রোড স্কোয়া, ওয়াটনি মার্কেট এবং হোয়াইটচ্যাপল মার্কেটগুলোতে শুধুমাত্র অপ্রস্তুতকৃত খাবার ও গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
আমরা এই অবশিষ্ট মার্কেটগুলোর স্টলের সংখ্যাও সীমিত করছি। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কিত নির্দেশিকা মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু দর্শনার্থী 'সামাজিক দূরত্ব নির্দেশিকা' অনুসরণ করতে ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষিতে, জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কাউন্সিল এবং স্থানীয় পুলিশ পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া পার্ক বন্ধ রাখার যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পার্কসমূহ
আমরা আমাদের পার্কগুলোকে অনেক ভালোবাসি এবং আমরা জানি যে আপনিও এগুলোকে ভালোবাসেন। লোকজন যাতে কিছুটা তাজা বায়ু সেবন এবং প্রতিদিনের এক্সারসাইজ করতে পারেন, সেজন্য আমরা এগুলো খোলা রাখতে চাই।
সরকারের পরামর্শ অনুযায়ি, আপনাকে অবশ্যই:
- কেবলমাত্র খাবার, স্বাস্থ্যগত কারণ বা প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ঘরের বাইরে যান।
- অন্য লোকদের থেকে দুই মিটার (৬ ফুট) দূরে থাকুন।
- ঘরে ঢুকেই হাত ধুয়ে ফেলুন।
দলবদ্ধ হয়ে পার্কে ঘোরাঘুরি করতে আপনাকে অনুমতি দেয়া হয়নি, তবে সরকারি গাইডেন্স বা নির্দেশিকা অনুযায়ি আপনি দিনে একবার আপনার সাথে বাস করেন এমন একজনের সাথে কিংবা একা একা যে কোন একটি ধরনের ব্যায়াম, যেমন দৌড়ানো, হাঁটা বা সাইকেল চালানোর জন্য ঘর থেকে বের হতে পারবেন।
পার্কে যাওয়া প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব নির্দেশিকা (সোশ্যাল ডিসটেন্স গাইডেন্স) অনুস্মরণ করতে হবে এবং সব সময় অন্যদের থেকে ২ মিটার দূরে থাকতে হবে।
খেলার মাঠ, আউটডোর জিম, টেনিস কোর্ট এবং ক্যাফেগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
|
আইডিয়া স্টোর ও লাইব্রেরীসমূহ
সরকারের সর্বশেষ পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের সকল আইডিয়া স্টোর ও লাইব্রেরী বন্ধ থাকবে।
৩০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত লোন হিসেবে নেওয়া সকল আইটেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন করা হবে। ওভারডিউ বা জমা দেয়ার সময় পার হয়ে যাওয়া কোন আইটেমের জন্য কোনরূপ চার্জ নেওয়া হবেনা।
সঠিক সময় যখন আসবে তখন এগুলো পুণরায় খোলার আশায় রয়েছি আমরা। তবে বিনা খরচে এখন অনলাইনে মেম্বার হওয়া যাবে এবং আপনার জন্য আমাদের কাছে রয়েছে অসংখ্য উপকরণ। ই-ম্যাগাজিন, ই-কমিক্স, অডিও বুক থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দেরটি। বিস্তারিত দেখুন www.ideastore.co.uk- এই ওয়েবসাইটে।
যেসকল বাসিন্দার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের, তাদের কাছে পৌঁছাতে ও সাহায্য করতে পারে এমন সকল উপায়গুলো অন্বেষণ করতে আমরা সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
স্মরণে রাখবেন, আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাউন্সিল সার্ভিসগুলোতে এক্সেস করা যাবে। তবে আপনার যদি আরো সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে দয়া করে আমাদের ০২০ ৭৩৬৪ ৫০০০ নাম্বারে (সোমবার থেকে শুক্রবার, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা) কল করুন। অনলাইন মেম্বার হতে চাইলে ক্লিক করুন -
রেস্টুরেন্ট, পাব, ক্যাফেসমূহ
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সরকার সকল ক্যাফে, বার, পাব, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখতে বলেছে।
স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি কঠিন একটি সময়, তবে সম্মিলিতভাবে, জনগণকে রক্ষা করাটাই আমাদের সবার প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
বেতনভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবসাবাণিজ্যকে অর্থিক এবং কর্মীদের নিযুক্ত রাখতে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
ব্যবসায়িদের জ্ঞাতার্থে-
বাসিন্দাদের জ্ঞাতার্থে -
হাউজিং অপশনস
বেথনাল গ্রীণের আলবার্ট জ্যাকব হাউজে অবস্থিত হাউজিং অপশনস্ কাউন্টার সার্ভিস পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যে সকল বাসিন্দা গৃহহীন বা গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন, তারা ০২০ ৭৩৬৪ ৭৪৭৪ নাম্বারে ফোন করলে হাউজিং টিমের সদস্যরা তাদের কেসটি মূল্যায়ন করবেন এবং আবাসন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করবেন।
অন্য যে কোন ধরনের অনুসন্ধানের জন্য homelessness@towerhamlets.gov.uk - এই ইমেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিজনেস রেইট
করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন ধরনের সহায়তামূলক পদক্ষেপ ঘোষনা করেছে। এই পদক্ষেপগুলোর সুফল পেতে পারে এমন পোপার্টিসমূহ চিহ্নিত করতে আমরা কাজ করছি এবং ২৩ মার্চ থেকে আমরা নতুন বিল পাঠানো শুরু করেছি।
আপনি যদি ৩ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবারের মধ্যে ডিসকাউন্ট উল্লেখপূর্বক নতুন বিল না পেয়ে থাকেন, এবং মনে করেন যে, আপনার এটি পাওয়া উচিত ছিলো তাহলে দয়া করে businessrates@towerhamlets.gov.uk- এই ইমেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
স্কুল বন্ধ
যদি কোন বাচ্চার ঘরে থাকা সম্ভব হয়, তবে তাদের ঘরে থাকাই উচিত হবে। তবে যাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরী যেমন, দাদা দাদি, নানা নানি এবং পরিবারÑপরিজন ও অন্য যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে, তাদের কাছে বাচ্চাদের রাখা অর্থাৎ চাইল্ডকেয়ারের ওপর নির্ভর করবেন না।
যদি কোন বাচ্চার বিশেষায়িত সহায়তার দরকার হয়, দুর্বল হয়, বা তার বাবা মা বা অভিভাবক কী ওয়ার্কার হন, তবে তাদের জন্য শিক্ষার সংস্থান রয়েছে।
স্কুলগুলো সবসময় বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে থাকবে, তবে কম সংখ্যক শিশু যদি স্কুলে থাকে, তাহলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার এবং বৃহত্তর কমিউনিটির দুর্বল মানুষদের সংক্রমিত করার ঝুঁকিও কম হবে।
রিইউজ এন্ড রিসাইক্লিং সেন্টার
ইয়াবসলি স্ট্রিটে অবস্থিত রিইউজ এন্ড রিসাইক্লিং সেন্টারটি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সারা টাওয়ার হ্যামলেটস জুড়ে গৃহস্থালি বর্জ্য ও পূণঃব্যবহার যোগ্য সামগ্রী সংগ্রহ কার্যক্রম যথারীতি চলবে। তবে বর্তমান সময়ে কিভাবে গৃহস্থালি বর্জ্য ও পূণঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর পরিমাণ কমানো যায়, সে সম্পর্কে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করার জন্য আমরা বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
|
অপরিহার্য না হলে গণপরিবহন একদমই ব্যবহার করবেন না। এতে করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হবে এবং জীবন বাঁচবে।
তারপরও আপনি যদি ভ্রমণ করেন, তাহলে হাত ধোয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুসরণ করুন।
বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে সরকারী পরামর্শ
যদি আপনি, আপনার পরিবার বা আপনার পরিচিত কেউ বাংলা বা অন্যকোনো ভাষায় সরকারি দিকনির্দেশনা পড়ে উপকৃত হতে পারেন বলে মনে করেন, তবে দয়া করে নিচের লিঙ্কগুলি শেয়ার করুন:
Coronavirus: useful links
পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
আমরা আশা করি যে, আপনি এই বুলেটিনটি উপকারী বলে বিবেচনা করছেন। সবাই যাতে কোরোনাভাইরাস সম্পর্কে সর্বশেষ পরামর্শ লাভ করেন, তা নিশ্চিত করতে এই বুলেটিনটি আপনার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বন্ধু -বান্ধব সহ জানাশোনা সকলের সাথে শেয়ার করুন। এই লিংকটি ব্যবহার করে যে কেউ গ্রাহক হতে পারবেন।
|
|
|
Did you know that Tower Hamlets offers other email newsletters to keep you up to date on a variety of topics?
|